নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক জাহাঙ্গীরের ছোট মেয়ে জিসা মনি গত ৪ জুলাই থেকে সে নিখোঁজ হয়। আর ৬ আগস্ট জিশা মনির বাবা জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ও অটো চালক রকিবকে। এদের মধ্যে কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। এদিকে ঘটনার ৫১ দিন পর সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে সেই স্কুল ছাত্রী জিসা মনি।
এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে চারদিকে। এই ঘটনায় শুনার পর ৩ আসামি পরিবারের লোকজন থানায় এসে তারা তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
সঠিকা বিচারের দাবী জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী আব্দুল্লাহর মা শিউলি বলেন, জাহাঙ্গীরের মেয়ে জিসাকে যদি হত্যা করা হয় তাহলে সে ফিরে আসে কি করে। পুলিশ আমার ছেলেকে মারধর করে হত্যার কথা স্বীকার করাইছে। আমার ছেলেকে কেন মিথ্যা মামলায় ফাসানো হলো আমি তার বিচার চাই।
খলিল মাঝির স্ত্রী শারমিন বলেন, খলিলকে রিমান্ডে নিয়া মাইরধর করে হত্যার স্বীকারোক্তি আনাইছে। পুলিশের মাইরে তিনি স্বীকারক্তি দিছে। আমার অসহায় স্বামীকে কেন মিথ্যা মামলায় ফাসানো হয়েছে আমি তার বিচার চাই।
রকিবের ভাই সজিব বলেন, পুলিশ রকিবের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলছে তুই কবি আমরা ধর্ষণ করে মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিছি। তারা আমার ভাইকে রিমান্ডে মাইর দিয়ে স্বাকীরোক্তি আনাইছে। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবী জানাই।
এদিকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে ৩ আসামীর জবানবন্দীর পরও ভিকটিম উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্তের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে এ কমিটি গঠন করা হয়। এডিশনাল এসপি ডিবিকে প্রধান করে কমিটিতে রাখা হয়েছে সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও ডিআই-১ কে।